প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১৭:৫৮
সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। ১১ মে রোববার, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রীরা এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এ বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ সংশোধন করে নতুন বিধান যুক্ত করা। বর্তমানে আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির বিধান রয়েছে, তবে সন্ত্রাসী সংগঠন বা ব্যক্তির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট ছিল না। তাই, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন বিধান সংযোজনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী সংগঠন বা ব্যক্তির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধনের উদ্দেশ্য হল, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা সত্তাকে সরকারি গেজেটের মাধ্যমে তফসিলে তালিকাভুক্ত করা এবং তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। নতুন বিধান অনুযায়ী, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে তার সত্ত্বা নিষিদ্ধ করা যাবে।
একই সঙ্গে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রচার নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বর্তমান ডিজিটাল যুগে সন্ত্রাসী প্রচারণার বিস্তার রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য আরও কার্যকরী প্রণালীর সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকের শেষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনকে সময়োপযোগী ও শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি।" এই সিদ্ধান্ত সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সহায়ক হবে।
এছাড়া, নতুন বিধান বাস্তবায়নের জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।