প্রকাশ: ৭ মে ২০২৫, ২১:১৯
বাংলাদেশিদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ভিসা নীতিতে অগ্রগতি হওয়ায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি দেশটির বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ আগ্রহকেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান।
বুধবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউএই’র টলারেন্স অ্যান্ড এক্সিসটেন্স বিষয়ক কেবিনেট মন্ত্রী শেখ নাহায়ান বিন মুবারক আল নাহায়ানের নেতৃত্বাধীন একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সৌজন্য সাক্ষাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার বার্তা উঠে আসে।
প্রতিনিধিদলের সফর ছিল স্বল্প সময়ের, তবে তাৎপর্যপূর্ণ। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে প্রতিনিধি দলটি, যাদের অভ্যর্থনা জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইউএই’র পররাষ্ট্র, বিনিয়োগ এবং মানবসম্পদ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।
শেখ নাহায়ান বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে। তিনি দুই দেশের সাম্প্রতিক পারস্পরিক সংলাপকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বলেন, ভিসা, বিনিয়োগসহ সকল খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি বহাল থাকবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা ইউএই’র এই সহযোগিতাকে সাধুবাদ জানাই। ভিসা সুবিধা, অনলাইন সিস্টেম চালু এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য সুযোগ তৈরি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক পদক্ষেপ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভিসার দরজা খোলার জন্য ধন্যবাদ। তবে এখনো কিছু প্রক্রিয়া বাকি, আমরা তা যৌথভাবে সমাধানের আশা রাখি।’
ইতোমধ্যে ইউএই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে এবং ব্যবসায়িক ভিসাগুলো দ্রুত অনুমোদন পাচ্ছে। দক্ষ কর্মীদের জন্য চালু হয়েছে অনলাইন ভিসা পদ্ধতি, যা শ্রম বাজারে বাংলাদেশিদের নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা খাতে ৫০০ জন বাংলাদেশির জন্য ভিসা ইতিমধ্যে ইস্যু হয়েছে এবং আরও এক হাজার ভিসা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আল হামুদি এবং আবু ধাবিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।