প্রকাশ: ৬ মে ২০২৫, ২০:৫৬
রাজনৈতিক অঙ্গনে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে তরুণদেরকে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৬ মে) নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই বার্তা দেন তিনি। ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তরুণদের রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তি ছাড়া কোনো সমাজ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের মুখ দেখতে পারে না। তিনি বলেন, রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করলে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়বে। এই পরিবর্তনের জন্য এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
সফররত প্রতিনিধিদলে ছিলেন নরওয়ের সাতটি প্রধান রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন সোশ্যালিস্ট ইয়ুথ লীগের নাজমা আহমেদ, কনজারভেটিভ পার্টির ওলা সভেনেবি, গ্রিন পার্টির টোবিয়াস স্টোকল্যান্ডসহ আরও অনেকে। এ সময় তারা বাংলাদেশের তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, অনেক তরুণ জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেনি। তারা জানতে চান, অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে এই প্রজন্মের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তরুণদের এমন বাস্তবতা শুনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে প্রকৃত ভোটাধিকার ছিল না।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন আনাই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার। এ জন্য সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি রাজনৈতিক পরিবেশ পেয়েছি যা ‘জঙ্গল পরিষ্কারের’ মতো চ্যালেঞ্জপূর্ণ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তরিকতা ও কার্যকর কৌশল প্রয়োগ জরুরি। পুরনো প্রথা ভেঙে একটি নতুন কাঠামো তৈরির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস পরিবর্তনের এই সময়কে ‘ট্রানজিশনের মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, এই রূপান্তর যেন দীর্ঘায়িত না হয়, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তরুণরা রাজনীতিতে জড়িত হলে পরিবর্তনের গতি আরও ত্বরান্বিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।