যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশে ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের দাবি অসত্য বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই এবং এতে দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুধু একটি বক্তব্য দিয়েছেন, তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি এবং এ ধরনের কোনো প্রকল্পের অস্তিত্ব পাইনি। ফলে এটি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইউএসএআইডির অর্থায়নে ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’ (এসপিএল) নামের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে, তবে এটি কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়নি।
২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমতি পায়। শুরুতে প্রকল্পটির মেয়াদ পাঁচ বছর থাকলেও পরবর্তীতে ধাপে ধাপে এটি বাড়ানো হয়।
প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক সহিংসতা কমানো, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি করা, রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্ব তৈরিতে উৎসাহ দেওয়া।
প্রকল্পটি ইউএসএআইডির কঠোর আর্থিক ব্যবস্থাপনার অধীনে পরিচালিত হয়, যেখানে নিরীক্ষা ও আর্থিক নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। এমনকি প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয় এবং প্রয়োজনে পুনরায় নিরীক্ষা করা হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ট্রাম্পের বক্তব্যে বাংলাদেশের দুই ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, তবে কাদের বোঝানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তাই এ বিষয়ে অযথা উদ্বেগের কিছু নেই এবং বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোরও দরকার নেই।
সরকারি পর্যায়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে এবং নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, ট্রাম্পের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতার আওতায় পরিচালিত হয় এবং এতে ব্যক্তির ভূমিকা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।