জেল থেকে জামিনে মুক্তির পর পিচ্চি হেলাল-ইমনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নতুন করে অপরাধে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামিরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের অবস্থান শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানান, জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অবস্থান সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ডিবি পুলিশের এই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীতে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি বড় ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদাবরে এক যুবকের কবজি বিচ্ছিন্ন করা, পল্টনে স্বর্ণ ছিনতাই, প্রাইভেটকার চালক সাজু মিয়া হত্যা ও যাত্রাবাড়ীতে কলেজ ছাত্র মিনহাজ হত্যার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর অনেক সন্ত্রাসী পুরনো কর্মকাণ্ডে ফিরে গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও দেখা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী জসিম জামিন পেয়েছে। সুব্রত, পিচ্চি হেলাল ও ইমনসহ অনেকেই পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে আদালতে জামিন বাতিলের আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে জানুয়ারিতে ডিএমপির এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেছিলেন, এসব সন্ত্রাসীদের নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে, কিন্তু দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পরও তারা সংশোধন হয়নি। বরং আগের মতোই চাঁদাবাজি, দলাদলি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, পিচ্চি হেলাল ও ইমন গ্রুপের বেশ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধান ব্যক্তিরা এখনও আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে, দ্রুতই গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের প্রতিটি ইউনিট কাজ করছে। ছিনতাইকারীদের দমনে বিশেষ ইউনিট ও গোয়েন্দা টিম কাজ করছে। অচিরেই নগরবাসী এর সুফল দেখতে পাবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তাই দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।