নওগাঁতে শীতের তীব্রতা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: বুধবার ১১ই ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:২০ অপরাহ্ন
নওগাঁতে শীতের তীব্রতা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ঘন কুয়াশা এবং ঝরঝর শিশিরে ঢেকে গেছে নওগাঁ। প্রবাহিত হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। গত দু'দিন ধরে সূর্য দেখা যাচ্ছে না, ফলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির, আর ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।


বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন (১০ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশায় রাস্তা-ঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে, এবং যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছেন, তাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ভ্যান, রিকশা চালকরা, যাঁরা সাইকেল বা মোটরসাইকেলে চলাচল করেন, তাঁদের জন্য কুয়াশা ও ঠান্ডা আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 


সর্বত্র যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে, তবে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। গত দুই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ছয় জন। 


এদিকে শীতের প্রকোপের সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীতজনিত রোগীদের ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে। 


সদর উপজেলার শিবপুর ব্রিজ এলাকার রিকশা চালক সোহরাব হোসেন এবং মন্টু মিয়া জানান, এত বেশি শীত পড়েছে যে রিকশা চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। হাত-পা শিথিল হয়ে যাচ্ছে এবং মানুষের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ায় ভাড়া কমে গেছে। এ কারণে সংসার চালাতে সমস্যায় পড়েছেন তারা।


নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আগামী দুই-এক দিন একই ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।