ভারতের জন্য সুইজারল্যান্ডের ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ (এমএফএন) মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপটি ভারতের রপ্তানি খাত এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
২০২১ সালে, সুইজারল্যান্ড ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য কর হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছিল। তবে নতুন এই সিদ্ধান্তে, আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য কর হার আবারও ১০ শতাংশে ফিরে আসবে। সুইস ফাইন্যান্স বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিবর্তনটি করা হয়েছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দেশ যদি অন্য দেশকে ‘মোস্ট ফেভারড নেশন’ মর্যাদা প্রদান করে, তাহলে তার অর্থ হচ্ছে ওই দেশকে বাণিজ্য এবং শুল্ক সম্পর্কিত বিশেষ সুবিধা দেওয়া। এমএফএন মর্যাদা অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে অন্যান্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশের মতো সুইজারল্যান্ডও করের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় সেই সুবিধাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত সেপ্টেম্বরে একটি রায়ে জানিয়েছিল যে, ভারতের আয়কর আইনের ৯০(১) ধারায় প্রজ্ঞাপন ছাড়া কোনও ‘দ্বৈত কর নিরসন চুক্তি’ কার্যকর হবে না। এর ফলে, সুইজারল্যান্ড এবং ভারত之间 'মোস্ট ফেভারড নেশন' মর্যাদা প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় সুইস সরকার একতরফা এই মর্যাদা প্রয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "আমরা মনে করি, ইউরোপীয় মুক্ত বাণিজ্য সমিতি (ইফটা) এবং দ্বৈত কর নিরসন চুক্তি পুনরায় আলোচনা করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, মোস্ট ফেভারড নেশন মর্যাদা বাতিলের বিষয়ে আমাদের কাছে আপডেট নেই।"
এই সিদ্ধান্তের পর, ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং বিশেষ করে রপ্তানি খাতের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন দিক খোলার জন্য আলোচনা এবং সমঝোতা প্রয়োজন হতে পারে, যা সামনের দিনগুলিতে গুরুত্ব পাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।