নওগাঁয় পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩ নভেম্বর) রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (৪ নভেম্বর) তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
ধামইরহাটে শনিবার (৫ অক্টোবর) একটি মারামারি ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাপ্পি (৩৫) ও আওয়ামী লীগ নেতা সেকেন্দার আলী (৪০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতে টিএন্ডটি মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ধামইরহাট থানার ওসি রাইসুল ইসলাম জানান, মারামারির ঘটনাটি ইসবপুর ইউনিয়নের বাজারে ঘটেছিল, যেখানে একজন বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিচারিক হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, মহাদেবপুরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদ (৪৭) কে রাতের অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে নওগাঁ সদর থানার ভাংচুরের মামলায় আটক করা হয়েছে। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাশমত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এছাড়া, মান্দা থানার পুলিশ সোমবার রাতে ভারশোঁ ইউনিয়নের আন্ধারসুরিয়া বিল এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আলী (৪২) কে গ্রেপ্তার করে। তিনি রাজনৈতিক একটি বিস্ফোরক মামলায় অভিযুক্ত। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান এ তথ্য জানান।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে, এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নওগাঁর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়রা চিন্তিত, কারণ দলীয় সংঘর্ষের এই ঘটনা এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।