যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। ইতোমধ্যেই আগাম ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৭৭ মিলিয়নের বেশি নাগরিক। এবারের নির্বাচনটি একদিকে যেমন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশায় চলছে, অন্যদিকে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার আশায় বুক বেঁধে আছেন কমলা হ্যারিস। তবে, এই নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী সম্প্রদায়, বিশেষত বাংলাদেশি ভোটাররা।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ইতিহাসে অভিবাসী ভোটব্যাংক বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। বিশেষ করে আরব মুসলিম ও বাংলাদেশি অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভোটার। যুক্তরাষ্ট্রে বাসরত অনেক বাংলাদেশি এবং আরব মুসলিম সম্প্রদায়, গাজার পরিস্থিতি এবং বাইডেন প্রশাসনের নীতির কারণে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি তাদের আস্থা হারিয়েছেন। তারা বিশ্বাস করছেন, কমলা হ্যারিস ক্ষমতায় গেলে বাইডেন প্রশাসনের নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে, যা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে, বাংলাদেশি ভোটারদের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন মার্কিন অর্থনীতির পরিস্থিতি। মূল্যস্ফীতি এবং আয়ের সাথে জীবনযাত্রার ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতার কারণে অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রতি অসন্তুষ্ট। ফ্লোরিডায় বসবাসরত নিনুন নাহার নামে এক বাংলাদেশি বলেন, "গত চার বছরে তেলের দাম, বাড়িভাড়া এবং খাবারের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।"
ফ্লোরিডার মিয়ামি শহরে প্রায় দেড় দশক ধরে ব্যবসা করছেন সোমানা মালিক। তিনি বলেন, "যেভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, তা সহ্য করা কঠিন।" ফ্লোরিডায় প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন, তাদের মধ্যে অনেকেই এবার ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি অভিবাসীদেরও একই ক্ষোভ। এখানকার ৪০ শতাংশ বাংলাদেশি বসবাস করেন, এবং তারা মূল্যস্ফীতি নিয়ে বিরক্ত। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিউ ইয়র্ক সিটিতে বসবাসকারী জিয়া হাসান, যিনি একজন আইটি পেশাজীবী, বলেন, "যেভাবে দাম বেড়েছে, সেভাবে আয় বাড়েনি, ফলে সাধারণ মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।"
এবারের নির্বাচনে এসব অভিবাসী ভোটারের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যাদের ক্ষোভ এবং হতাশা প্রভাব ফেলতে পারে নির্বাচনী ফলাফলে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।