শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহের ঊর্ধ্বগতির ধারা বজায় রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২.৩০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২ সালের অক্টোবরে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১৬.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা শিখা এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ২.৪০ বিলিয়ন ডলার। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মিলিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪.৬৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৯.৮৭ বিলিয়ন ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার পেছনে মূলত দুইটি কারণ কাজ করছে। প্রথমত, আমদানি বিলের আন্ডার-ইনভয়েসিং উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা আগে অনেক বেশি ছিল। সম্প্রতি এই প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। দ্বিতীয়ত, হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার অনেকটা কমে যাওয়ায় সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে বেশি ডলার আসা শুরু হয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের ভূমিকা আরো দৃঢ় হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের বেসরকারি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি, সার এবং অন্যান্য পণ্য আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার সংকট দেখা দেওয়া সত্ত্বেও, রেমিট্যান্স প্রবাহের এই বৃদ্ধি একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রণোদনা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সহায়ক হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কার্যকর নীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।