https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif

বাজেটের এত টাকা আসবে কোথা থেকে?

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩ জুন ২০২১, ১৭:২৪

শেয়ার করুনঃ
বাজেটের এত টাকা আসবে কোথা থেকে?
দেশের অর্থনীতিতে নীরবেই ঘটে গেছে বৈপ্লবিক এক পরিবর্তন। এখন প্রতি মাসেই রেমিট্যান্স অর্জনে নতুন নতুন মাইলফলক অর্জন করছে বাংলাদেশ। দুই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার ওই সিদ্ধান্তের কারিগর ছিলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।



যিনি এই করোনা কালে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন।


বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশের ৫০তম বাজেটে উপস্থাপন করছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার তৃতীয় বাজেট।



এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ মন্ত্রী এবং এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। বেশির ভাগ সংসদ সদস্য মুখে মাস্ক পরে ছিলেন।


এদিকে নতুন (২০২১-২০২২) অর্থবছরের বাজেট বিগত অর্থবছরের তুলনায় ৩৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বেশি। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের এই অর্থ জোগান দিতে রাজস্ব, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের শরণাপন্ন হবে সরকার।


এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, যা বিগত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের চেয়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বেশি। মোট আয়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আসবে ১৬ হাজার কোটি টাকা।


বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) অনুমোদন হয়েছে এডিপি।


এদিকে বাজেটে অনুদান ব্যতীত ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬.২ শতাংশ। অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬.১ শতাংশ।


অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নেবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। আর জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেবে ৩২ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাত থেকে নেয়া হবে পাঁচ হাজার এক কোটি টাকা। বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।


যে খাতে ব্যয় হবে

প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক বরাদ্দ খাতে ব্যয় হবে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫১০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। মানবসম্পদ খাতে (শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাত) বরাদ্দের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা। ভৌত অবকাঠামো খাতে ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা বাজেটের ২৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।


এর মধ্যে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে খরচ হবে ৭৪ হাজার ১০২ কোটি টাকা, যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৬৯ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।


সাধারণ সেবা খাতে খরচের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব, বিভিন্ন শিল্পে ভতুর্কি, রাষ্ট্রায়ত্ত, বাণিজ্যিক ও আর্থিক খাতে বিনিয়োগের জন্য ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। সুদ পরিশোধ বাবদ ৬৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা ও নিট ঋণদান ৫ হাজার ১০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


উল্লেখ্য,২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পান লোটাস কামাল। ৫ বছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় আর জাতীয় উন্নয়নে রাখেন প্রত্যক্ষ অবদান। এরপর বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদে এসে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্থলাভিষিক্ত হন ২০১৯ সালে।


#ইনিউজ৭১/এনএইচএস/২০২১

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR34H1CYK6CXG3RK1RQA5673.jpg

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের জরুরি পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠকে-প্রধান উপদেষ্টা

মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের জরুরি পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠকে-প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দেশের রপ্তানি খাতে নতুন চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে নেওয়া হলেও বর্তমানে তা কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা চিন্তিত।   এই সংকট মোকাবিলায় শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে সরকারের শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং

বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নেবে সরকার: শফিকুল আলম

বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নেবে সরকার: শফিকুল আলম

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ নিব, যার ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পরিমাণ বর্তমানের তুলনায় আরও বাড়বে।” তিনি আশ্বস্ত করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের রপ্তানি কখনও কমবে না, বরং তা আরও বাড়বে। এদিন শফিকুল আলম যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা করা নতুন শুল্কহার নিয়ে

শেখ হাসিনাকে ঢাকায় প্রত্যর্পণে আশাবাদী প্রেস সচিব

শেখ হাসিনাকে ঢাকায় প্রত্যর্পণে আশাবাদী প্রেস সচিব

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে ইউনূস ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানান। প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বৈঠকে মোদি ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ

মার্কিন শুল্ক ইস্যু: জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

মার্কিন শুল্ক ইস্যু: জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের রপ্তানি পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে জরুরি সভা ডেকেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুরের পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সভায় মার্কিন শুল্ক নীতির প্রভাব ও সম্ভাব্য对策 নিয়ে আলোচনা করা হবে।

প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মিয়ানমার

প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মিয়ানমার

মিয়ানমার প্রথম ধাপে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার জনকে প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো তালিকা পর্যালোচনা করে তারা এই সংখ্যা নির্ধারণ করেছে।   বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের