সব ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২৪শে জানুয়ারী ২০২১ ০৪:২৫ অপরাহ্ন
সব ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং : কৃষিমন্ত্রী

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সব ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।রোববার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপুর বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। আরিফুর রহমান সম্প্রতি গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন।


কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো- কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। এ কাজে আমাদের সফল হতে হবে। এক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ হলো- আমাদের বিরাট জনসংখ্যা যা বর্তমানে সাড়ে ১৬ কোটির বেশি। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য মূল খাদ্য চাল উৎপাদন করতে হবে।


এরসঙ্গে পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য দুধ, মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতি উৎপাদনের জন্য পোল্ট্রি, ডেইরি ও ফিস ফার্ম করতে হচ্ছে, ফিডের জন্য ভুট্টার চাষ হচ্ছে।’‘তেলজাতীয়, ডালজাতীয় ফসলও উৎপাদন করতে হবে।


এই সবগুলোর জন্য জমি লাগবে অথচ নানা কারণে চাষের জমি কমছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সব ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’


কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশ যত উন্নতই হোক কৃষির যদি উন্নতি না হয়, তাহলে মানুষের জীবিকার উৎস বাড়বে না, আয় বাড়বে না। দেশের ৬০-৭০ ভাগ মানুষ যারা গ্রাম বাস করে তাদের আয় মূলত কৃষির ওপরই নির্ভর করে। তাদের আয় না বাড়লে স্থানীয় বাজার উন্নত হবে না।


আর স্থানীয় বাজার উন্নত নাহলে শিল্প-কারখানার প্রসার লাভ করবে না। ফলে বিদেশি বিনিয়োগও সেভাবে আসবে না। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেখানে বিনিয়োগ করে বা যে পণ্যটি উৎপাদন করবে, তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারবে কিনা সেটি আগে বিবেচনা করে। সেজন্য শুধু রফতানিনির্ভর পণ্যের জন্য তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হয় না।


এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।