দুদকের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও মানহানিকর: দাবি নাসের রহমানের

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। রবিবার দুযোগে দুদক তার বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করার কথা প্রেস ব্রিফিংয়ে জানালে, তা তিনি ‘তথ্যবিহীন’ এবং ‘অবৈধ’ দাবি করেছেন। সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, এই ধরনের অভিযোগে কাউকে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার আগেই মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার করা দুদকের কাজ হওয়া উচিত নয়।

এম নাসের রহমান বলেন, তিনি গত ১৯ বছর থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে বিরোধী দলের অবস্থানে আছেন, সেই কারণে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ‘বোধগম্য নয়’। তিনি বলেন, “অবৈধ সম্পদ অর্জন কেবল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সম্ভব। বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে। তাহলে কীভাবে আমি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছি তা আমি বুঝতে পারছি না।”

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মিডিয়ায় প্রচার করার বিষয়টি ‘মানহানিকর এবং অবৈধ’। তিনি বলেন, “আমাকে কোন নোটিশ না পাঠিয়ে, আমাকে অবগত না করে মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের খবর প্রচার করা হয়েছে যা দুঃখজনক ও অন্যায়।”

দুদকের এই পদক্ষেপকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক প্রভাবিত মনে করে এম নাসের রহমান বলছেন, এটি শুধু তার নয়, দেশের গণতন্ত্রের জন্যও ক্ষতিকর। তিনি অবিলম্বে এই অনুসন্ধান প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তার আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার নয় বছর আগে একই বিষয় নিয়ে তদন্ত করেছে, কিছু পাওয়া যায়নি। যদি কিছু থাকতো, তারা তো আমাকে গ্রেফতার করতো।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে, দুদক এই কাজ করে নিজেকেই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।

বিএনপি নেতার এই বক্তব্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে এবং সরকারের দুর্নীতি দমন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।