প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১৯:২৫
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের আয়মাপাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হলো কৃষি মাঠ দিবস ও প্রদর্শনী, যেখানে শতাধিক কৃষক ও কৃষাণী উপস্থিত থেকে চারা উৎপাদনে কোকোডাস্ট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। বুধবার বিকেলে স্থানীয় কৃষক মোশারফ হোসেনের বাড়ির উঠানে জাকস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে কোকোডাস্ট ব্যবহার করে চারা উৎপাদনের সফল উদাহরণ তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জহির রায়হান, যিনি মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং উৎপাদন বাড়ানোর কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন শাহিন, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরে আলম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাফসান জানী এবং সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান তাঁদের বক্তব্যে কৃষিতে আধুনিক পদ্ধতির গুরুত্ব এবং কৃষক প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার নারী ও পুরুষ কৃষকেরা, যারা কোকোডাস্ট ভিত্তিক চারা উৎপাদনের খুঁটিনাটি জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কৃষক মোশারফ হোসেন জানান, একসময় তিনি জমিতে বিভিন্ন ফল ও সবজির চারা উৎপাদন করতেন, কিন্তু জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে কোকোডাস্ট ব্যবহারের মাধ্যমে চারা উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা খুঁজে পান। তিনি জানান, এ বছর তিনি সাত লাখ টাকার বেশি চারা বিক্রি করেছেন এবং এখনও তার বীজতলায় বিপুল পরিমাণ চারা রয়েছে।
মাঠ দিবসের মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের আধুনিক ও লাভজনক কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করা এবং সফল কৃষকের অভিজ্ঞতা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। এ ধরনের কার্যক্রম কৃষকদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহ জোগাবে বলে উপস্থিত কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন।
এই আয়োজন প্রমাণ করে, সঠিক পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষি খাতের সম্ভাবনা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। পাশাপাশি, গ্রামীণ অর্থনীতিতেও বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন উদ্যোগ।
স্থানীয় কৃষকদের মতে, এই প্রদর্শনী মাঠপর্যায়ে শিক্ষার পাশাপাশি চাষিদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতে কৃষি উৎপাদন আরও এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।