প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১৮:৩৬
কুড়িগ্রামের উলিপুরে মঙ্গলবার বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আলমগীর বসুনিয়া (৫৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থেতরাই বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারের পর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, আলমগীর বসুনিয়া পূর্বে থেতরাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আব্দুল জলিলের নৌকা মার্কার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। এই ঘটনায় দলের শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
এরপর ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি সক্রিয় ভূমিকা নেন এবং ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেন। এই আচরণ দলের নিয়মের বিরোধী হওয়ায় গত ১ জুন তার সদস্য সচিব পদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থেতরাই ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক করে। এই ঘটনার পর থেতরাই ইউনিয়ন বিএনপি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমান জানান, আলমগীর বসুনিয়ার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
আলমগীর বসুনিয়া গ্রেফতারের খবর স্থানীয় রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি স্থানীয় রাজনৈতিক গঠন ও দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি শক্ত সংকেত। উভয় পক্ষই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।
এই ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক কর্মীরা সতর্ক থাকার পাশাপাশি শান্তি রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার গুরুত্ব অনুধাবন করছেন।
তবে এ ঘটনায় দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা ও নীতি অনুসরণের গুরুত্ব আবারো浮 উঠে এসেছে। আগামী দিনগুলোতে স্থানীয় রাজনীতির গতিপথে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর রয়েছে। তারা আশা করছেন, শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে।
মেটা কীওয়ার্ড: