মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৯ বছর ধরে আটকে আছে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ। ২০১৭ সালে প্রথম পর্যায়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। অথচ দীর্ঘ ৮ বছর পার হয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জেলার শ্রীমঙ্গলেই সর্বপ্রথম মডেল মসজিদ নির্মিত হওয়ার কথা ছিল। অন্যান্য উপজেলায় দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ ধাপে বরাদ্দ পেয়েও মসজিদ নির্মাণ শেষে উদ্বোধন হয়ে গেলো; কিন্তু শ্রীমঙ্গলে এখনো জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় শুরু করাই সম্ভব হয়নি। এই জটিলতা কখন শেষ হবে কেউ জানে না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে এ প্রকল্পের কাজ চললেও জায়গা সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে আছে শ্রীমঙ্গল উপজেলার এই মসজিদ নির্মাণ প্রক্রিয়া। চরম অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সারা দেশে কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নেওয়া প্রকল্পটি তদারকি কাজ করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মসজিদগুলো নির্মাণকারী হিসেবে কাজ করে গণপূর্ত অধিদপ্তর।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের সীমানার ভেতরেই এখন মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি স্থানান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শ্রীমঙ্গল উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মো. আব্দুল বারি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আলম জানান, শ্রীমঙ্গলে মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে প্রথম পর্যায়ে প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এরপর শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ রোডস্থ সুরমা ভ্যালী মসজিদের পাশে জায়গাও চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু সেখানে স্থানীয় মসজিদ কমিটির দ্বন্দ্বে মডেল মসজিদ করা সম্ভব হয়নি। এরপর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এলাকায় মডেল মসজিদের জমি চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করে জমি স্থানান্তরের জন্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) স্থানান্তর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেহেতু প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন মাসে শেষ হবে। এর আগেই জমি স্থানান্তর প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। নতুবা মসজিদ নির্মাণ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে।
এবিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসলাম উদ্দিন জানান, শ্রীমঙ্গল জমি অধিগ্রহণ জটিলতার জন্য মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এখন মডেল মসজিদ নির্মাণের জমি নির্ধারণ করা হয়েছে এবং মসজিদের নামে জায়গাটি স্থানান্তর করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সাড়া পেলে পেলেই সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।