দীর্ঘ দিন যাবৎ মরনব্যাধী ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে শনিবার (৪সেপ্টেম্বর) ভোর রাত্রী তিন ঘটিকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র আমির হামজা (১৩)।
আমির হামজা দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী ধাওয়নশীপুর গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করে। সে পার্শ্ববর্তী কোকতাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। তার বাবা আশরাফুল ইসলাম (২৮) কৃষি কাজ করে কোন রকমে সংসার চালায়। মা জেসমিন বেগম একজন গৃহিণী। জন্মের পরে বাবা মা সন্তানের আদর করে নাম রাখেন আমির হামজা।
জানাগেছে, প্রায় সাত বছর আগে আমির হামজার গলায় একটা টিউমার দেখা দেয়। রাজশাহীতে একটি ক্লিনিকে অপারেশন করে চিকিৎসা করা হয়। দুই বছর সে খুব ভালো ছিলো। তারপরে হঠাৎ করে আবারও সে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য প্রথমে নিয়ে যায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা গলার আক্রান্ত স্হানের মাংস কেটে পরীক্ষা নিরিক্ষার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আমির হামজাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়েছে বলে জানায়। তারপর থেকে বাড়িতে এনে চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চল ছিলো এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন ব্যাগ রক্ত দিতে হতো। নিজ বাড়িতে চিকিৎসা অবস্হায় শনিবার ভোর রাত তিনটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আমির হামজা। ওই দিন সকাল ১১ ঘটিকায় মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবর স্হানে তার দাফন সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর- এ আলম বলেন, শিশুটি দীর্ঘ দিন ধরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করেছে। তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি সেই সাথে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।