লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর স্বাধীনতা পুরস্কার না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে তিনি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর উল্লেখ করেছেন, ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন, তবে কোনো পুরস্কারই তিনি গ্রহণ করেননি। বর্তমানে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে, এবং এজন্য তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কিন্তু তিনি জানান, সরকারের দেওয়া এই স্বাধীনতা পুরস্কারও তার পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
বদরুদ্দীন উমর তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজের জন্য সুপরিচিত। স্বাধীনতা পুরস্কারের প্রতি তার আগ্রহ না থাকার এই সিদ্ধান্তটি বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে। তিনি বরাবরই নিজের স্বাধীন মতামত প্রকাশে খোলামেলা ছিলেন এবং কখনও কোনো পুরস্কার বা পদমর্যাদা গ্রহণে আগ্রহী হননি। তার এই সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত চিন্তক ও সমাজসেবক।
এদিকে, স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়, যারা দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তবে বদরুদ্দীন উমরের এই অবস্থান দেশের বুদ্ধিজীবী মহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বদরুদ্দীন উমরের সিদ্ধান্তের পর, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা, যার মাধ্যমে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্বীকৃতি গ্রহণের পরিবর্তে স্বাধীন মত প্রকাশের গুরুত্বকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। এটি একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি, যা দেশের রাজনীতিতে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।