স্বামীর চাহিদা মেটাতে সেক্স ডল কিনলেন স্ত্রী !

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১১ই অক্টোবর ২০২২ ০৭:৩০ অপরাহ্ন
স্বামীর চাহিদা মেটাতে সেক্স ডল কিনলেন স্ত্রী !

সাড়ে চার মাস ধরে সম্পর্কে আবদ্ধ ২৩ বছরের শারলট এবং ২৮ বছরের ক্যালাম। দারুণ প্রেম তাঁদের মধ্যে। তবে যৌনতায় কিছুদিন যাবৎ খুঁজে পাচ্ছিলেন না নতুনত্ব। তার উপর বয়ফ্রেন্ড ক্যালামের একটু বেশিই যৌন খিদে। তা মেটাতে গিয়ে একেবারেই নাভিশ্বাস উঠছিল শারলটের। কী উপায়?


এক সংবাদমাধ্যমে শারলট জানিয়েছেন, রোজই নতুন কায়দায় সঙ্গমে লিপ্ত হতে হত আমাকে। ক্যালামের যৌন খিদে মেটাতে গিয়ে বিছানায় হাঁপিয়ে উঠতাম। ঠিক সেই সময়ই একটা বিজ্ঞাপন দেখে বুদ্ধি এল। কিনে ফেললাম সেক্সডল। সেক্সডলকে সঙ্গে নিয়ে এখন আমরা নিয়মিত যৌনতায় মেতে উঠি। ক্যালামও খুশি, আমিও খুশি। বরং এরপর তো আমাদের মধ্যে আরও বেশি ভালবাসা বেড়েছে। বিশ্বাস বেড়েছে।


সেক্সডল নিয়ে কোনও ট্যাবুও নেই শারলট বা ক্যালামের মধ্যে। বরং, তাঁরা একসঙ্গে মিলে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ারও করেন। সঙ্গে লেখেন, আমরা ভালবাসার প্রতীক। এই নিয়ে অনেকে মুখ বাঁকালেও, শারলট ও ক্যালামের বন্ধুরা কিন্তু একেবারেই মেনে নিয়েছে এই দম্পতির যৌনকীর্তি। গোটা কাণ্ডে ক্যালাম জানিয়েছে, অবশেষে যৌনসুখ পাচ্ছি! একদিকে স্ত্রী ও আরেক দিকে আমার যৌনপুতুল।


 কয়েকদিন আগে খবরে এসেছিল বার্লিনের এক যুবক সেক্সডলকে বিয়ে করেন এবং তাঁর সঙ্গে হানিমুনেও যান। দিব্যি সংসারও করছেন। শারলট ও ক্যালামের এই কীর্তি মনে করাচ্ছে সেই যুবকের কথাই। 


প্রসঙ্গত, অতিমারীর পরে বেশ কিছু নতুন ব্যবসা সাফল্যের মুখ দেখেছে। কিন্তু তার মধ্যে নজর কেড়েছে এক দম্পতির নব্য ব্যবসা। আর পাঁচটা ব্যবসার সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। কারণ সমাজের বেশ কিছু ট্যাবু দূর করতে চেষ্টা করছে এই সংস্থা। ভারতে যৌনতা সম্পর্কে বেশ কিছু বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে। সেগুলিও ভাঙতে চাইছেন অনুষ্কা এবং সাহিল গুপ্ত নামে এই দম্পতি। অনলাইনে বিভিন্ন সেক্স টয়ের (Sex Toy Business) ব্যবসা করেন তাঁরা। তাঁদের এই উদ্যোগের নাম মাইমিউজ। 


খোলাখুলি ভাবে যৌনতা সংক্রান্ত আলোচনা করা আজও সমাজে খারাপ চোখেই দেখা হয়। সেই প্রসঙ্গে অনুষ্কা জানিয়েছেন, “আমাদের শরীরের গোপন স্থানগুলিতে ব্যবহারের জন্যও কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই জিনিসগুলি প্রকাশ্যে কেনাবেচা করতে অনেকেই লজ্জা বোধ করেন। এই জিনিস কিনতে অপরাধবোধ কাজ করে, সম্মানহানির আশঙ্কা করেন অনেকেই। এই মানসিকতা বদলাতে চাই আমরা।”