জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর কাড়াকাড়ির ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের কড়িয়া রামনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের হাটখোলা গ্রামের গোলাম মোর্তুজার মেয়ে সুমাইয়া আকতার (২৯) এর সঙ্গে রামনগর গ্রামের নজির বক্সের ছেলে হাসান আলীর সাথে বিয়ে হয়। সেখানে ঘর সংসার চলাকালীন সুমাইয়া আকতার ক্ষেতলাল উপজেলার জলিয়াপাড়া গ্রামের মহাতাব সরকারের ছেলে মতিউর রহমানের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারী দুজনে বিয়েও করেন। এরপর সুমাইয়ার পূর্বের স্বামী হাসান আলী দ্বিতীয় স্বামী মতিউর রহমানের নিকট থেকে ফুঁসলিয়ে পুণরায় নিজের নিকট নিয়ে আসে। এদিকে মতিউর রহমান স্ত্রীর খোঁজ করতে গেলো শনিবার রাতে রামনগর এলাকায় এসে স্ত্রীকে দেখতে পেয়ে তাকে নিয়ে যেতে চাইলে সুমাইয়ার বর্তমান স্বামী হাসান আলী তাকে আটকে রাখেন।
সুমাইয়ার ১ম ও বর্তমান স্বামী হাসান আলী বলেন,সুমাইয়া এখন আমার স্ত্রী। সে মতিউরকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করেছেন। তবে তার কাছে তালাকনামার কাগজ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেনি।
অপরদিকে সুমাইয়ার পূর্বের স্বামী মতিউর রহমানের দাবী, আমার স্ত্রী আমাকে তালাক দিলে আমি তালাকের কাগজ পেতাম। কিন্তু আমি কোন কাগজপত্র পায়নি। তাই সে এখনও আমার স্ত্রী।
দুজনের টানাটানিতে সুমাইয়া আকতার বলেন, হাসান আলী আমাকে জোরপূর্বক আমার দ্বিতীয় স্বামীর নিকট থেকে নিয়ে আসে এবং তালাক করিয়ে বিয়ে করে জোর করে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতন করে।
স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যা মোছাঃ তহমিনা বলেন, মেয়ের অভিভাবক না আসায় আমি ঘটনা শুনে চলে আসি। পরে কি হলো তার আর বলতে পারব না।
পাঁচবিবি থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।