গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ওয়াবদা বাঁধে ভাঙ্গন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৬ই মার্চ ২০২৫ ০৭:১৮ অপরাহ্ন
গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ওয়াবদা বাঁধে ভাঙ্গন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ওয়াবদা বাঁধের ভাঙ্গন ১০ দিন অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গত ১০ দিন পূর্বে এই বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হলে প্রায় ৪০০ ফুট এলাকা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পাশাপাশি, ভাঙ্গনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফাটল দেখা দেয়, যা দিন দিন আরো বিস্তৃত হয়ে এখন ৫০০ ফুট এলাকাও নদীতে তলিয়ে গেছে। যদি দ্রুত বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু না করা হয়, তাহলে পূর্ণিমার জোয়ারে বাঁধটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যেতে পারে, ফলে গোয়ালডাঙ্গা বাজার, বড়দল, খাজরা ও আনুলিয়া ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে।


গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ৩৫০-৪০০টি দোকান, নির্মাণাধীন চান্নি সেট, আল আকসা জামে মসজিদ, পার্শ্ববর্তী জামে মসজিদ, ইসলামী ব্যাংক, ফকিরবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবং তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা জমির বোরো ধান, তরমুজ চাষসহ মৎস্য ঘেরগুলো বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। গত বছর মরা মরিচ্চাপ নদী খনন হওয়ার পর থেকে এ ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, যা বর্তমানে বড় ধরনের বিপদ সৃষ্টি করেছে।


এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার আশাশুনি সদরের মানিকখালী চরে এবং বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারে মরিচ্চাপ নদীর বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আশিকুর রহমান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন। পরিদর্শনকালে এসও আশিকুর রহমান জানান, এটি পাউবোর রাস্তা নয়, তবে এটি নদী রক্ষা বাঁধের অংশ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ শুরু করার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।


বর্তমানে এলাকাবাসী এবং ব্যবসায়ীরা গভীর উদ্বেগে আছেন, কারণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে তাঁদের জমি, ব্যবসা এবং জীবনযাত্রার ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে।