নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণ মামলা থেকে রক্ষা পেয়ে এবার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মো.আবু সুফিয়ান উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষী গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে এবং সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের ৩নং যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে কোর্ট এফিডেভিট করে বিয়ে করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে ছাত্রলীগ নেতা সুফিয়ান একই বাড়ির তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীরর কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ বাল্যবিয়ের অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে তারা পালিয়ে যায়।
চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী আরো জানান, ভিকটিম এবং অভিযুক্ত ছেলে আত্মীয়। বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা কোর্ট এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেছে এবং সে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বলেও তিনি জানান।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী আরো জানান, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা অভিযোগ করে গত মঙ্গলবার রাতে সুফিয়ান তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমি মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সুবর্ণচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হককে ফোনে অভিযোগের বিষয়টি অবহিত করি। ওসি আমাকে জানায়, ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় পাঠিয়ে দেন। আমি সর্বাত্মক আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করব।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে একাধিকবার মো.আবু সুফিয়ানের ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ব্যবহৃত ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক জানান,, একটা বাল্যবিয়ে হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ সময় ছেলে পক্ষ পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আর থানায় আসেনি এবং কোনো লিখিত অভিযোগও করেনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।