প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের বাসা থেকে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানের পর এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। এর সঙ্গে অন্য কোনো সম্পদের তথ্য আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই সাইফুল আলমের সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছিল দুদক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালানো হয় এবং সেখান থেকে এই অর্থ জব্দ করা হয়। এ সময় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে, যা তার সম্পদের উৎস সম্পর্কে নতুন তথ্য দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুদকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্থের প্রকৃত মালিকানা ও বৈধতা যাচাই করতে তদন্ত চলছে। সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় তার ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য সম্পদ সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই অর্থ সরকারি কোনো প্রকল্প বা চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারে। তবে দুদক নিশ্চিত করেছে যে, সম্পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন এবং পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন আরও কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারে বলে জানা গেছে। কারণ, অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আরও কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের যোগসূত্র থাকতে পারে। তবে এখনই বিস্তারিত কিছু জানানো হচ্ছে না বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়েছে। তারা আশাবাদী, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এটি কোনো একক ঘটনা নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কার্যক্রমেরই অংশ বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।