বাংলাদেশ পুলিশের ডগ স্কোয়াডের উন্নত ব্যবস্থাপনা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে ইতালি যাচ্ছেন পুলিশের সাতজনসহ মোট আটজন সদস্য। ইতালিতে কুকুর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ এবং প্রাক্-জাহাজীকরণ (পিএসআই) কার্যক্রমের সম্ভাব্যতা যাচাই করবেন তারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি সরকারি আদেশ (জিও) জারি করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পুলিশের ডগ স্কোয়াডের জন্য ইতালি থেকে ১০টি কুকুর কেনা হচ্ছে। প্রতিটি কুকুরের মূল্য ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৭২ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ লাখ টাকা। দরপত্রে কার্যাদেশ পেয়েছে তামাম করপোরেশন।
কুকুরগুলোর হ্যান্ডলিং ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জনের জন্য পুলিশের পাঁচজন সদস্য ইতালি যাবেন। পাশাপাশি প্রাক্-জাহাজীকরণ কার্যক্রমের জন্য যাচ্ছেন দুজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি।
সরকারি আদেশ অনুযায়ী, ১৪ দিনের প্রশিক্ষণ নিতে ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ইতালিতে থাকবেন পাঁচ পুলিশ সদস্য। তারা হলেন— ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার ওবাইন, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এম রাকিবুল হাসান ভুইয়া, ডিএমপির নায়েক মো. সালাউদ্দিন প্রধান, কনস্টেবল মজুবুর রহমান এবং সুজয় মহন্তা জয়।
অন্যদিকে, প্রাক্-জাহাজীকরণ কার্যক্রমের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ইতালি যাচ্ছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (লজিস্টিকস) মো. ফারুক হাসান এবং এআইজি (ডগ স্কোয়াড) এস.এম. শাহরিয়ার। তাদের সঙ্গে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবদুর রহিম। তারা সেখানে সাত দিনের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
ইতালি সফরের সব খরচ বহন করবে কুকুর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তামাম করপোরেশন। সফরের উদ্দেশ্য পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কুকুর পরিচালনায় উন্নততর প্রযুক্তি ও পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন।
সরকার মনে করে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যরা দেশে ফিরে কুকুর পরিচালনায় আধুনিক দক্ষতা প্রয়োগ করবেন, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।