কুয়াকাটায় উত্তাল সমুদ্রে পর্যটকদের উন্মাদনা

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১:৩১

শেয়ার করুনঃ
কুয়াকাটায় উত্তাল সমুদ্রে পর্যটকদের উন্মাদনা

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে কুয়াকাটার সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। পুর্নিমার জোয়ারের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় ৪-৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সৈকতের কাছে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। গত তিন দিন ধরে সমুদ্রের এই রুদ্রমূর্তির কারণে সৈকত এলাকা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। বিশেষ করে সৈকত সুরক্ষা জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিম্ন এলাকাগুলোর খাল-বিলও অতিরিক্ত পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে, উত্তাল সমুদ্রের দৃশ্য দেখে পর্যটকরা সমুদ্রে গোসল করতে ব্যস্ত রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, এবছর এই ধরনের বড় ঢেউ তারা আগে কখনও দেখেননি। পর্যটকরা স্রোতের তীব্রতা উপেক্ষা করে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, যদিও ট্যুরিস্ট পুলিশ বারবার নিষেধ করছেন।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা বখতিয়ার জানান, পরিবারের সঙ্গে সমুদ্রে গোসল করছেন এবং ঢেউয়ের উচ্চতা দেখে অবাক হয়েছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী ইদ্রিস সরদার বলেন, তার দোকান সৈকতের উঁচুতে হলেও সমুদ্রের ঢেউ এসে পৌঁছাচ্ছে। জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং এর কারণে সাগর ও নদী থেকে পানির উচ্চতা বাড়ছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো: আনসার উদ্দিন জানান, উত্তাল সমুদ্রের কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি পর্যটকদের নিরাপদ থাকার জন্য সতর্ক করেছেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে টহল দিচ্ছেন।

https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে নতুন ১২ নির্দেশনা, কড়াকড়ি বাড়াল সরকার

সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে নতুন ১২ নির্দেশনা, কড়াকড়ি বাড়াল সরকার

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কঠোর এই নির্দেশনা অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা থেকে ১২ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এহসান উদ্দিন প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‘বাংলাদেশ পরিবেশ

নভেম্বরে খুলছে সেন্টমার্টিন, থাকছে নতুন নিয়ম

নভেম্বরে খুলছে সেন্টমার্টিন, থাকছে নতুন নিয়ম

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন আবারও খুলে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের জন্য। আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে পর্যটন মৌসুম, যা চলবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে এবার পরিবেশ রক্ষা ও দ্বীপের ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশ কিছু কঠোর নিয়ম চালু করছে সরকার। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব

পর্যটকদের রোমাঞ্চের কেন্দ্রবিন্দু হামহাম জলপ্রপাত

পর্যটকদের রোমাঞ্চের কেন্দ্রবিন্দু হামহাম জলপ্রপাত

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাহাড়ি অরণ্যের গভীরে অবস্থান করছে দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন জলপ্রপাত ‘হামহাম’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঝর্ণার স্বচ্ছ জল এবং দুঃসাহসিক পথের কারণে এটি এখন ভ্রমণপিপাসুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। জলপ্রপাতটি ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কুরমা বনবিট এলাকার প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীর পাহাড়ি অরণ্যে অবস্থিত। ২০১০ সালে হামহাম জলপ্রপাত উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলেও দুর্গম পাহাড়ি অবস্থান, যোগাযোগের অভাব ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে দীর্ঘদিন

শ্রীমঙ্গলে প্রাচীন লাসুবন গিরিখাত: পর্যটনের নতুন গন্তব্য

শ্রীমঙ্গলে প্রাচীন লাসুবন গিরিখাত: পর্যটনের নতুন গন্তব্য

মৌলভীবাজারের চা-বাগান শহর শ্রীমঙ্গলে পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে প্রাচীন গিরিখাতসমূহ। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘লাসুবন গিরিখাত’, যা ৪নং সিন্দুরখান ইউনিয়নের নাহার চা-বাগানের খাসিয়া পুঞ্জির গভীর পাহাড়ি অরণ্যে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দুঃসাহসিক অভিযানের কারণে এটি ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাসুবন গিরিখাতের দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার থেকে শুরু হয়ে ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। স্থানীয়

সাজেক ভ্যালি: শরতের রূপে ভ্রমণপিপাসুদের মিলনমেলা

সাজেক ভ্যালি: শরতের রূপে ভ্রমণপিপাসুদের মিলনমেলা

শরতের মনোরম আবহে সাজেক ভ্যালি এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসছেন পাহাড়ি এই পর্যটনকেন্দ্রে। সাজেকের মেঘে ছাওয়া পাহাড়, নীল আকাশ ও সাদা মেঘের ভেলায় যেন স্বর্গীয় সৌন্দর্য ধারণ করেছে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সাজেক ভ্রমণকারীদের কাছে ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দিচ্ছে। বিশেষ করে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ে রিসোর্টের ব্যালকনি, হেলিপ্যাড ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে