দুই লাখ টাকা দেনমোহরে ভোলার চরফ্যাশনে জলিল ফরাজী নামে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে ৩৭ বছরের এক নারীর বিয়ের খবর পাওয়া গেছে। বর জলিল পেশায় ইটভাটা শ্রমিক।
১২ বছর আগে তার স্ত্রী মারা গেছেন। সন্তান থাকলেও তারা আলাদা থাকেন। তাই শেষ বয়সে নিজের দেখাশোনার জন্য মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে কনে জাহানারা বেগমকে বিয়ে করেছেন তিনি।
কনে জাহানারার আগের স্বামী ও সন্তান মারা গেছেন। তাই তিনিও তার একাকিত্ব দূর করতে জলিল ফরাজীকে বিয়ে করেছেন। গতকাল এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতায় দু’জনের পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ প্রবীণের বিয়েকে ঘিরে গ্রামজুড়ে চলছে আনন্দ উৎসব।
এদিকে, চরফ্যাশনের আবদুল্লাপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ শিবা গ্রামের বাসিন্দা বর জলিলের সঙ্গে একই উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন তুলাগাছিয়া গ্রামের জাহানারার বিয়ের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, জাহানারার স্বামী তিন বছর আগে মারা গেছেন। আর বৃদ্ধ জলিলে ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি থাকলেও কনে জাহানারার একমাত্র মেয়ে মারা গেছে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর জলিল ফরাজী প্রায় এক যুগ ধরে টিনের চৌচালা ঘরে একাই বসবাস করছিলেন। তার ছেলে ও মেয়ের আলাদা সংসার হয়েছে। তারা তেমন খোঁজ-খবর নেন না। ইটভাটায় কাজ করে নিজের খরচ চালান তিনি। তিনি হাসিখুশি মানুষ। এতদিন দ্বিতীয় বিয়ের কথা বললেও তিনি রাজি হননি। নিজের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বৃদ্ধ বয়সে দেখভালের জন্য হঠাৎ বিয়ে করতে রাজি হলেন।
বৃদ্ধ বর জলিল ফরাজী জানান, এক ঘটকের মাধ্যমে কনে জাহানারার সঙ্গে পরিচয় হয়। উভয়ের সম্মতিতে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জাহানারা বেগম জানান, স্বামী ও কন্যা সন্তানের মৃত্যুর পর তিনি খুব অসহায় হয়ে পড়েছেন। একাকীত্ব ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি বিয়েতে রাজি হয়েছেন।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-নোমান বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ না জানালেও ফেইসবুকের মাধ্যমে জেনেছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।