বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ পাতার হাট উপজেলার লস্করপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মুন্সী ওরফে দুলাল মুন্সী নামের এক ব্যাক্তিকে অস্ত্রঠেকিয়ে লস্করপুর গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে কিছু ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী দুলাল মুন্সী বিষয়টি নিয়ে, বরিশাল জেলা প্রশাসক, বরিশাল পুলিশ সুপার কার্যলয়, মেহেন্দিগঞ্জ থানা, বরিশাল দুদক কার্যলয়, মেহেন্দিগঞ্জ সাব-রেজিষ্টার ও বরিশাল জেলা সাব-রেজিষ্টার, বরিশাল- ৪ আসনের সংসদ সদস্য, বরিশালের স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকা অফিস সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। গত রবিবার ১ আগস্ট বিকাল ৫ টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে ৮/১০ জন লোক এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ আগস্ট বিকালে সন্ত্রাসীরা ৪ টি মটরসাইকেলে যোগে লস্করপুর গ্রাম থেকে চরহোগলা গ্রামের পৌর কাউন্সিলরের বাড়ির দোতলার একটি কক্ষে তাকে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ভাবে ৪ দিন আটকে রাখেন। এরপর তাকে মারধর করে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে ৪ আগস্ট কিছু ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে জোরপূর্বক টিপসই নিয়ে ৫ আগস্ট তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দুলাল বলেন, তাদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি জানতে পারি আমার বিষয় সম্পত্তি আমারই ছেলে রিয়াজ মুন্সি, মিলন মুন্সি, মেয়ে আখি বেগম ও স্ত্রী কুলসুমনেছা ও সাব-রেজিষ্টার অফিসের লোক পরিচয়দাকারী দুই ব্যাক্তির উপস্থিতিতে একটি ভূয়া দলিল তৈরি করে তাতে আমার টিপসই নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ সাব-রেজিষ্টার অফিসে গিয়ে আমার অনুপস্থিতে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রেজিষ্টারকে দিয়ে দলিল রেজিষ্টি করার পায়তারা চালিয়ে আসছে। তাই আমি সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে উক্ত দলিল যাহাতে কার্যকরী না হয় এবং আমাকে ছাড়া যেন কোন ব্যক্তি দলিল রেজিষ্টি করতে না পারে তাহার জন্য সরকারের যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে আকুল প্রার্থনা জানাচ্ছি এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
মেহেন্দিগঞ্জ সাব-রেজিষ্টা বাবুল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ভুক্তভোগী দেলোয়ার মুন্সি বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে জানিয়েছে এবং একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, জমির দাতা ছাড়া আমার এখান থেকে অবৈধভাবে দলিল রেজিষ্ট্রি করার প্রশ্নই আসে না। দাতা ছাড়া এই দলিল রেজিষ্টি হবে না। সে যতই প্রভাবশালী ব্যক্তি হোক। এবিষয়ে বরিশাল আদালতে মামলার প্রস্ততি চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দেলোয়ার মুন্সি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।