সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার নথি আগুনে পুড়ে গেছে

উল্লেখযোগ্য যে, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের একটি ফ্ল্যাটে সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি খুন হন। সেই সময় থেকেই তাদের হত্যাকাণ্ডের পেছনে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে এবং মামলাটি দেশের আলোচিত মামলা হিসেবে পরিচিত। শুরু থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে বিভিন্ন রকমের তথ্য এবং গুজব শোনা গেছে। তবে পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থার নিরলস প্রচেষ্টার পরও হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ এবং দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে, মামলার নথি আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিস্থিতি মামলার তদন্তে আরও জটিলতা সৃষ্টি করেছে। আইনজীবীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথি হারিয়ে যাওয়া একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যেই তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আগুনে পুড়ে যাওয়া নথির পুনঃপ্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। 

বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং শিকদার মাহমুদুর রাজী মামলাটির অগ্রগতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে জানান, তারা আগুনে পুড়ে যাওয়া নথিগুলোর পুনরুদ্ধারে কাজ করবেন। তবে কিছু প্রশ্ন এখনো মেলে দাঁড়িয়ে আছে, যেমন- এই নথিপত্রের আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘটনাটি কিভাবে ঘটল, এবং এর পেছনে কী কোনো ষড়যন্ত্র ছিল কিনা।

এখন দেখা যাচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং তদন্তের পুরো প্রক্রিয়া আরও ধীরগতির হতে পারে, বিশেষ করে যখন এই গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি হারিয়ে গেছে। আদালত আশা করছে, তদন্তের নতুন দিকনির্দেশনা দ্রুত আসবে, এবং শীঘ্রই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।