ডেসটিনি, ই-অরেঞ্জ, ইভ্যালি ও এহসান গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পরই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধ চেয়ে রিটের শুনানিতে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা সুদ কারবারিদের তালিকা করার নির্দেশনা চেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক চৌধুরী।
হাইকোর্ট বলেন, দেশের মানুষ দরজা-জানালা বন্ধ করে শান্তিতে ঘুমাবে কিন্তু আমাদের দরজাগুলো কেন খোলা? মানুষের টাকাগুলো কেন লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বাইরে। এটা আমরা দেখতে চাই, পরীক্ষা করতে চাই। আমরা এ বিষয়ে আদেশ দেবো।
তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক বলেন, সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা কিন্তু নয়। এহসান গ্রুপ ও ই-ভ্যালির জড়িতদের গ্রেফতার করেছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তখন আদালত আরও বলেন, সরকার তো ব্যবস্থা নিচ্ছে কিন্তু কখন? যখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।