টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর বাজারের পশ্চিমে মোহাম্মদ রাশেদ নামে ২০ বছরের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে স্থানীয় নুর নাহার নামের এক নারী পেয়ারা গাছের ঢালে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান। নিহত রাশেদ শামলাপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত রশিদ আহমেদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নুর নাহার বাগানে সুপারি কুঁড়াতে গিয়ে গাছের ঢালে ঝুলন্ত মরদেহটি দেখতে পান এবং হৈচৈ করে আত্মীয়স্বজনদের খবর দেন। পরে খবর পেয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ জানায়, মরদেহের সাথে থাকা পোশাক, হাতঘড়ি, মানিব্যাগ এবং মোবাইল ফোন অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে মৃতদেহের অবস্থান ও আশপাশের আলামত দেখে এ মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গাছের ঢালের উচ্চতা এবং নিচের মাটির দূরত্ব প্রায় সমান, যা ঘটনাটি স্বাভাবিক আত্মহত্যা বলে মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলেছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, গভীর রাতে ওই এলাকায় সিএনজির শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। এতে করে অনেকের ধারণা, এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। যদিও নিহতের শরীরে বড় ধরনের কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
নিহতের বড় ভাবি সলমা খাতুন বলেন, রাশেদ শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল এবং আত্মহত্যার মতো কাজ করার মানুষ নয়। তিনি ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করেন এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি চেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শোভন কুমার সাহা জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে এ মৃত্যু নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত এবং সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, তারা ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে এবং মৃত্যুর আসল কারণ উদঘাটনে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।