"নোয়াখালীর যুবদল নেতার বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ"

নিজস্ব প্রতিবেদক
গিয়াস উদ্দিন রনি- জেলা প্রতিনিধি , নোয়াখালী
প্রকাশিত: বুধবার ১৫ই জানুয়ারী ২০২৫ ০৩:৫৬ অপরাহ্ন
"নোয়াখালীর যুবদল নেতার বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ"

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে যুবদল নেতা ফাহাদুল ইসলাম পাভেল বন বিভাগের গাছ কেটে সরকারি জমিতে হোটেল নির্মাণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। স্থানীয় বন প্রহরী মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ৪ জানুয়ারি যুবদল নেতা পাভেল গাওয়া গাছ কেটে সরকারি জমিতে হোটেল নির্মাণ শুরু করেন। পরে, এই ঘটনা জানার পর বন প্রহরী তাকে হুমকি দেন। 


বন প্রহরী মো. মাহমুদুল হাসান আরও অভিযোগ করেন, তিনি তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে যুবদল নেতা তাকে তার দোকানে ডেকে নিয়ে হুমকি দেন। হুমকি ছিল যে, যদি তিনি বিষয়টি প্রকাশ করেন, তবে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। হুমকির মধ্যে ছিল তাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পেটানোর কথাও। 


এদিকে, যুবদল নেতা ফাহাদুল ইসলাম পাভেল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তিনি কোনো গাছ কাটেননি এবং কোন হোটেলও নির্মাণ করেননি। তিনি দাবি করেন, বন প্রহরী যদি সরেজমিনে এসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, তবে তিনি কোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। 


বন বিভাগের সাগরিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তা প্রণব কুমার জানান, বিষয়টি জানার পর তাদের দলের সদস্যরা ৮-৯টি গাছ উদ্ধার করেছেন এবং কিছু গাছ হোটেল নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী সমাধান করা হবে। 


এ ঘটনার পর স্থানীয় বিএনপির নেতারা বিব্রত হয়ে পড়েছেন, কারণ যুবদল নেতা পাভেল স্থানীয় রাজনীতিতে কিছুটা প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন। তার কর্মকাণ্ড স্থানীয় নেতৃবৃন্দের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 


বন প্রহরী মো. মাহমুদুল হাসান জানান, তার পক্ষে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না, কারণ ক্যাম্পে পর্যাপ্ত জনবল না থাকার কারণে তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি। 


এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন এবং বন বিভাগ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে এবং সংশ্লিষ্ট আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই অভিযোগ নিয়ে বেশ কিছু সন্দেহ এবং বিতর্ক তৈরি হয়েছে। 


এ ঘটনা স্থানীয় সমাজে একটি বড় আলোচনার সৃষ্টি করেছে, যেখানে সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন পক্ষের মতামত যাচাই করা হচ্ছে।