দেবীদ্বারে লোডশেডিংয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ বিল, গ্রাহকদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৭শে জুলাই ২০২৩ ০৯:২৮ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে লোডশেডিংয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ বিল, গ্রাহকদের ক্ষোভ

কুমিল্লার দেবীদ্বারে লোডশেডিংয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ বিল। জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসের বিল বেড়ে দাড়িয়েছে ৫ গুণ। এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত বিলের বোঝা থেকে রক্ষা পেতে গ্রাহকরা ভীর জমাচ্ছেন কুমিল্লা-১ দেবীদ্বার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বাড়ান্দায়।


বৃহস্পতিবার (২৭জুলাই) দুপুরে দেবীদ্বার পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে সামনে গিয়ে দেখা যায় গ্রাহকেরা তাদের বাড়তি বিলের কপি হাতে নিয়ে দিক বিদিক ঘোরা ফেরা করছেন। এসময় একাধিক গ্রাহক জানায়, জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৬-১৮ ঘন্টা লোডশেডিং থাকার পরও বিদ্যুৎ ব্যবহার বেশি দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে ৪/৫ গুন বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ।


এসময় বাড়তি বিলের ভুক্তোভোগী উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের জুন মাসে আমি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি ৩৫৩ টাকা, এখন জুলাই মাসে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে এসেছে ১হাজার ৫শ ৯২ টাকা যা গত মাসের বিলের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি। আমি একজন খেটে খাওয়া মানুষ হয়ে এতো টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো। এ অফিসের আওতায় চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রায় ৫০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি পেয়েছে।


বুড়িরপাড় গ্রামের মোঃ রুহুল আমিন জানান, জুন মাসে ৬৭৩ টাকা বিল পরিশোধ করেছি জুলাই মাসে বিল এসেছে ১ হাজার ৯শ ২০টাকা। জাফরগন্জ ইউনিয়নের আরেক গ্রাহক মোঃ খোকন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের সাথে তামাসা শুরু করছে। দিন রাত বিদ্যুৎ থাকেনা তার পরও বাড়তি বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে আমাদের। জুন মাসে ৭০০টাকা বিল পরিশোধ করলাম এখন জুলাই মাসে ১হাজার ৯শ ২০টাকা বিল এসেছে। তারা সাধারণ গ্রাহকের পকেটের টাকা চুরি করতে বসেছে।এমন অভিযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যুৎ অফিসের বারান্দায় ঘুরে ফিরে শত শত বিদ্যুৎ গ্রাহক।


বাড়তি বিলের সংকায় রয়েছে সাধারণ গ্রাহকেরা। বিদ্যুৎ অফিসের এমনন কান্ডে নানা মনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই বাড়তি বিদ্যুৎ বিল মিটাতে স্বচ্ছল কিংবা উচ্চ আয়ের মানুষের তেমন কোন সমস্যা না হলেও সাধারণ খেটে খাওয়া অস্বচ্ছল মানুষগুলো বিপাকে পরেছে। তারা এ বাড়তি বিলের বোঝা টানবে কি করে।


সাধারণ জনগন ও ভুক্তভোগী অনেক গ্রাহক মনে করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা লুটপাটে পকেট ভারি করতেই গ্রাহকদের ভুতুড়ে বিল প্রদানের মাধ্যমে হয়রানি ও জনগণের পকেট কাটার ব্যবস্থা করেছে।


এ বিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ-১ দেবীদ্বার জোনাল অফিসের (ডিজিএম) রেজাউল করিম বলেন, জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে লোডশেডিং বেশি ছিলো। কুরবানির ঈদে ফ্রিজে লোডের কারনে জুলাই মাসে কিছুটা বেশি বিল আসতে পারে। তবে ৪/৫ গুণ বৃদ্ধির বিষয়ে অভিযোগ পেলে মিটার পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।