ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। যানজটে আটকে থেকে তীব্র গরমে বিশেষকরে নারী,পুরুষ, শিশু, বয়স্কসহ সবাইকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরজমিনে শনিবার বিকালে ঘাট ও সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার মকবুলের দোকান পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ব্যাক্তিগত মাইক্রোবাসের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। অনেক যাত্রী বাস ছেড়ে পায়ে হেটে, ভ্যান গাড়ি, অটোরিকশায় ঘাটে যাচ্ছে। কিছু যানবাহনের চালকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে এসেও বিকাল ৩টা পর্যন্ত তারা ফেরির নাগাল পায়নি।
অন্যদিকে যাত্রীদের নদী পারাপারে ২২টি লঞ্চ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচল করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মো. নুরুল আলম মিলন।
এদিকে, দৌলতদিয়া ঘাটে ভোর থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। প্রতিটি ঘাটেই মানুষের ভিড়। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীবাহী শত শত পরিবহন যানজটে আটকে আছে।
জমিদার ব্রিজ এলাকায় আটকেপড়া যাত্রীবাহী বাস থেকে নেমে হাটছেন এনামুল হক। তিনি বলেন আমি পাংশা থেকে একটি লোকাল বাসে জমিদার ব্রিজ পর্যন্ত এসেছি। এতো যানবাহনের চাপ হয়েছে সেটা আগে জানলে কাল ঢাকা যেতাম। সাথে ব্যাগ নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছি। শুনলাম ঘাট এখান থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে। দেখি পায়ে হেটে কতদুর পর্যন্ত যেতে পারি।
(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন জানান, "বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ছোট-বড় মিলিয়ে ২১টি ফেরি চলাচল করছে। কাল গার্মেন্টস ও অফিস খোলা থাকায় যাত্রী ও যানবাহনের প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ভোগান্তি কমাতে কাজ করছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।