গাজীপুরে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে পা ভেঙে পাঁচতলা বাড়ি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি , গাজীপুর
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:১৫ অপরাহ্ন
গাজীপুরে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে পা ভেঙে পাঁচতলা বাড়ি দখলের অভিযোগ

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে তার পা ভেঙে পাঁচতলা বাড়ি দখল করার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা সেলিম আহমেদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সেলিম আহমেদ (৪২) শ্রীপুর পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং দারগার চালা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে।


ভুক্তভোগী মো. কবির তালুকদার (৪৫), গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন তালুকদারের ছেলে, জানিয়েছেন যে তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে দারগারচালা গ্রামের নূরুল ইসলামের কাছ থেকে পৌনে নয় শতাংশ জমি ক্রয় করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবনের নির্মাণ কাজ দুই বছর আগে সম্পন্ন হয়। এই বাড়ির জন্য তিনি ওয়ান ব্যাংক থেকে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেন।


কিন্তু গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকারের সমর্থক হিসেবে কবির তালুকদারের সখ্যতার অভিযোগ এনে এবং জমির দাতা নূরুল ইসলামের চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও অভিযুক্ত সেলিম আহমেদ পাঁচতলা বাড়ির পৌনে দুই শতাংশ জমি পাওয়ার দাবি করে বাড়িটি জবরদখল করে।


২৫ আগস্ট, সেলিম আহমেদের নেতৃত্বে ৫০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়ির দখল নেয়। এ সময় কবির তালুকদার ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে এবং তাদের পা ভেঙে দেয়। অভিযোগ করা হয়েছে যে, সন্ত্রাসীরা বাড়ির মালামাল, যেমন আইপিএস, টিভি, ফ্রিজ, রং এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, সহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।


কবির তালুকদার জানান, সেলিম আহমেদ তাকে টেলিফোনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে এবং এমন একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর, সেলিম আহমেদ বাড়ির ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৬৬ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করেন।


শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের পর, বাড়ির নির্মাণকাজ চলমান অবস্থায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মো. বেলায়েত, রাজমিস্ত্রি নজির আহমেদ এবং একাধিক ভাড়াটিয়া দখলের ঘটনার সাক্ষী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মো. শহর আলী বলেন, সেলিমের নেতৃত্বে তাকে মারধর করা হয় এবং পরে সেলিম ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।


অপরদিকে, অভিযুক্ত সেলিম আহমেদ জানিয়েছেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের সহযোগিতায় কবির তালুকদার জমি দখল করে নিয়েছেন। এ কারণে তার চাচাতো ভাই মানিক মিয়া এবং তিনি পাঁচতলা বাড়ির সীমানায় পৌনে দুই শতাংশ জমি পাওয়ার দাবি করেছেন।


শ্রীপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সুজন কুমার পন্ডিত জানিয়েছেন, বাড়ির দখলের অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত কাজ চলছে।