কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগে ডাক্তার শূন্যতায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সোমবার বেলা ১২ টায় সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগের ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় রুগীদের উপচে পড়া ভীড়। নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার। হাসপাতালের রুমের ভিতর টেবিলে সকল সরঞ্জাম থাকলেও নেই শুধু ডাক্তারের উপস্থিতি।
শিশু ওয়ার্ডে (১১০ নম্বর) রুমে তিনজন ডাক্তার চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও চিকিৎসা দিচ্ছে একজন ডাক্তার। দীর্ঘ সারিতে শিশু রোগীদের কোলে নিয়ে স্বজনরা অপেক্ষমান থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া ১০১, ১০২ ও ১০৩ নম্বর রুমে ৩ জন করে ডাক্তার রোগীদের সেবা দেয়ার স্থলে প্রতি রুমে ১ জন করে ডাক্তারের উপস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এছারা এনসিডিসি রিপোটিং রুমে চেয়ার টেবিল থাকলেও নেই কোনো ডাক্তার। সবগুলো রুমের জেনো প্রায় একই রকম চিত্র।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই প্রায় ৯ শত থেকে ১ হাজার রোগি চিকিৎসা নিয়ে থাকে। ডাক্তারের অপ্রতুলতার কারনে রুগীদের ঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়না। দেবীদ্বারে ১৮টি প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ১৮টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারসহ ৩৬টি হাসপাতাল ডায়গনষ্টিক সেন্টারের প্রায় শতাধিক দালাল এবং ১৫/২০টি ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিভ’র দৌরাত্মে অতিষ্ঠ রোগি ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।
এদিকে চিকিৎসা নিতে আসা রুগি ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তার দেখাতে এসে অনেক্ষন লাইনে দাড়িয়ে আছি, ডাক্তার আসবে আসবে বলে এখনো আসেন নি। ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে সেবা না দিয়ে প্রাইভেট পেক্টিসে ব্যাস্ত থাকেন। দালালরা প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তার আছেন বলে টানা হেছরা করেন। প্রয়োজনীয় ডাক্তার শূন্যতায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগিরা দীর্ঘক্ষন লাইনে দাড়িয়ে অসহ্য হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান জানান, আমাদের কিছু ডাক্তার স্বল্পতা রয়েছে। আমি কুমিল্লা মিটিংয়ে আছি, তবে কেউ দায়িত্বে অবহেলা করে থাকলে খুঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।