প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১২:৩২
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামে চাঁদাবাজির অভিযোগে নারীসহ দুইজনকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে এবং মুহূর্তেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকায় বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা হলেন মনোয়ারা বেগম ও মোশারফ হোসেন। তারা বন বিভাগের জমিতে বসবাসরতদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ঘর তুলে দেওয়ার নামে অর্থ আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারী মনোয়ারা বেগম জানান, তিনি একটি সমিতির কিস্তির টাকা তুলতে গিয়েছিলেন, তখনই অপবাদ দিয়ে তাকে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমে তাকে একটি খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়, পরে একটি আমগাছে বেঁধে একই কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনার পর থানায় শতাধিক লোক জড়ো হয়। পরে ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে এক সালিশি বৈঠকে অভিযুক্তদের ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার মুচলেকা দিলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জালাল উদ্দিন জানান, কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি এবং অভিযুক্তরা অনুতপ্ত হয়ে ভুল স্বীকার করায় সামাজিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাফর আলী বলেন, মনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে দালালি করে বন বিভাগের জমিতে ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করে অর্থ নিতেন। এ কারণে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের আটক করে। তবে পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা এড়ানো গেছে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশি নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলে জানা গেছে।
আপনি কি চান এই প্রতিবেদনটির আরও স্থানীয় সাক্ষাৎকার যোগ করে বাড়ানো হোক?