বিদেশগামী এবং বাংলাদেশে আসতে চাওয়া যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে কোভিডের আগের বিধিনিষেধ পরিবর্তন করা জরুরি। এমনটাই মনে করে কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তাদের মতে, এখন বহু দেশ বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের যেমন ছিল তেমনই আছে। তাই নিয়োগকর্তা দেশ এবং এয়ারলাইনসের মতো করে নতুন বিধি প্রণয়নের পরামর্শ তাদের।
বর্তমানে সর্বসম্মত একটি নিয়ম জারি আছে। সে হিসেবে এখন বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে বা দেশে ঢুকতে টিকার সনদের পাশাপাশি থাকতে হয় কোভিড টেস্টের রিপোর্ট। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারির রূপ এখন একেক দেশে একেক রকম। যে কারণে কোনো কোনো দেশ শুধু টিকার সনদ থাকলেই ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে। কেউবা উপসর্গ না থাকলে কোনো সমস্যাই করছে না। আবার কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রেও আছে ভিন্ন ভিন্ন দিনের নিয়ম।
পরামর্শক কমিটির মতে, কোনো দেশ কিংবা কোনো এয়ারলাইনসের কেমন ডিমান্ড, সেটা দেখে আমাদেরও নিয়ম জারি করতে হবে।
কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লা বলেন, ‘এখন থেকে যারা দেশের বাইরে যাবে, তারা সেই দেশের ইমিগ্রেশনের নিয়মটা এবং যে এয়ারলাইনসে যাবে, তাদের যে নিয়মটা, সেটা ফলো করতে হবে। তাতে যারা বিদেশ যেতে ইচ্ছেুক, তাদের অনেক অহেতুক ভোগান্তি কমে যাবে।
সেটি করা গেলে নিয়োগকর্তা দেশের মালিকপক্ষের চাপ এড়াতে পারবেন আমাদের কর্মীরা।’ গত বৃহস্পতিবার পরামর্শক কমিটির সবশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লা আরও বলেন, ‘এটা করলে আমাদের দেশে যেসব যাত্রী আসবেন এবং যেসব যাত্রী যাবেন, তাদের ভোগান্তি কমে যাবে।’
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, গড়পড়তা একই নিয়ম জারি থাকার করণে সেটি সাংঘর্ষিক হচ্ছে কর্মীদের জন্য।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. রিদওয়ান-উর রহমান বলেন, ‘অনেক দেশে বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। এমনকি যুক্তরাজ্যে মাস্কের বিধিনিষেধ পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে। কারণ, তারা বুস্টার ডোজ পেয়ে গেছে শতকরা ৮০ ভাগের ওপরে। কিন্তু আমাদের দেশ তো আর ওই জায়গায় নেই, আরও পেছনে আছি। এ জন্য আমাদের একটু সচেতন থাকতে হবে।’
তাদের মতে, রেমিট্যান্স, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি কিংবা কর্মীর সুবিধার স্বার্থে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।