সাজিরহাট পোস্ট অফিস। ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের বাংলাবাজারে এর অবস্থান। প্রথম দিকে পোস্ট অফিসটির নিজস্ব কোন ভবন না থাকলেও তখনকার পোস্ট মাস্টারগন নিজস্ব খরচে অস্থায়ীভাবে ঘর ভাড়া নিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালিয়েছেন। তবে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ও পোস্ট অফিস সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল পোস্ট অফিসের নিজস্ব একটি ভবন নির্মাণের।
দাবীর প্রেরিক্ষিতে ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরনবী চৌধুরী শাওনের প্রচেষ্টায় এবং ডাক বিভাগের অর্থায়নে ভবন নির্মাণের বাজেট হয়। সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভবন নির্মাণের স্থান এবং জমি নিয়ে। তবে সে বাধাও দূর করে দেন স্থানীয় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবুল হাসেম পাটওয়ারী। তিনি পোস্ট অফিসের নামে তিন শতাংশ জমি দান করেন। ফলে ওই জমিতে নির্মিত হয় আধুনিক ভবন সম্বলিত পোস্ট অফিসের একটি অত্যাধুনিক ভবন।
তবে অভিযোগ করে জমিদাতা আবুল হাসেম পাটওয়ারী ও স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসি বলেন, পোস্ট মাস্টার নিয়মিত অফিস না করায় এখানে আসা ডাক পেতে দেরি হচ্ছে। যাতে করে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষজন। এছাড়াও অযতেœ অবহেলায় পরে আছে ভবনটি। নিয়মিত অফিস না করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভবনের দরজা জানালাসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। আর পোস্ট অফিসের জন্য বরাদ্ধকৃত কম্পিউটারটি পোস্ট মাস্টার ফরিদউদ্দিন তার ব্যক্তিগত ব্যবসার কাজে ব্যবহার করছেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে সাজিরহাট পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার ফরিদউদ্দিন মুঠোফোনে জানান, আমি নিয়মিত অফিস করছি। প্রতিনিয়ত ডাকও পাঠাচ্ছি। একটি কুচক্রি মহল আমার ক্ষতি করার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আর পোস্ট অফিসটি দূর্গোম স্থানে হওয়ায় আবহাওয়া খারাপ থাকলে মাঝে মধ্যে বাজারে বসেই অফিসের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে হয়। আর অফিসের কম্পিউটারটি নিরাপত্তার কারণে অফিস শেষে বাসায় এনে রাখি।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে ভোলা জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক ইমরান হোসেন বলেন, ওই পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।