নাব্য সংকটে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। মাঝেমধ্যে ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে ফেরি। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে চলছে নৌযান।
এতে সময় লাগছে দ্বিগুণ। দীর্ঘ সময় ঘাটে যানবাহন আটকে থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রীদের। তবে, দুর্ভোগ কমাতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
ইলিশা ঘাটের কাছে জেগে ওঠা ডুবোচরের কারণে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের নৌযানগুলো কয়েক কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করছে। এমন একাধিক ডুবোচর রয়েছে মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে।
তার ওপর মেঘনা নদী থেকে মজু চৌধুরীর ঘাটে ঢুকতে চর রমনির প্রায় ৩ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চ্যানেলে ফেরি একবার আটকে গেলে জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।
একজন ট্রাকচালক বলেন, চার ওপারে ঘাটে থেকে এই পারে আসলাম। আবার এই পারে তিন দিন থাকতে হচ্ছে। খাওয়াদাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো রকমে থাকতে হচ্ছে। আর ১০ দিন যদি এক গাড়ি বসে থাকে তাহলে আমরা চলব কীভাবে, আমাদের কোম্পানি চলবে কীভাবে।
দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত ড্রেজিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। বিআইডব্লিউটিসির সহব্যবস্থাপক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, বিআইডব্লিউটিসি যথেষ্ট চেষ্টা করছে নাব্যতা ধরে রাখার জন্যে। ড্রেজিং আগে থেকেই হচ্ছে। আবার শুরু করা হবে।
ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে কৃষাণী, কুসুমকলি ও কলমিলতা নামের ৩টি রো রো ফেরি ও ১১টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।