দুর্ভোগে পড়েছে কুয়াকাটায় ২০ হাজারের বেশী পর্যটক। দেশব্যাপী পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়া পর্যটকদের জন্য হোটেল মোটেল মালিক সমিতি ৩০ শতাংশ ছাড় দেয়ার পাশাপাশি পটুয়াখালী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বরিশাল নগরী পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ পর্যটক ছোট যানবাহনে তাদের গন্তব্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সপ্তাহিক ছুটিতে বৃহস্পতি-শুক্র ও শনিবার হাতে রেখে কুয়াকাটায় আসেন হাজারো পর্যটক। অনেকে পূর্বের নির্ধারিত সময়ানুসারে কুয়াকাটায় এসেছেন বৃহস্পতিবার। আবার শুক্রবার ভোরেও পৌঁছান অনেকে। যারা শুক্রবার ফিরে যাওয়ার সিডিউলে ছিলেন তারা এসেছিলেন আরও কয়েক দিন আগে। কিন্তু, হঠাৎ যান চলাচল বন্ধের ঘোষণায় পর্যটকরা পড়ে যায় দুর্ভোগে। কিন্তু কিছু কিছু পর্যটক ক্ষুদ্র যানবাহনে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বরিশালসহ বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছেছেন।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল মালিক সমিতি সূত্র জানিয়েছে, ‘কুয়াকাটায় কোন পর্যটক আটকা পড়েনি। পড়েছে দুর্ভোগে। দুর্ভোগে পড়ে এসব পর্যটকদের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ রুম বুকিংয়ের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়েছেন। গত দুইদিনে বেশীরভাগ পর্যটক বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে চলে গেছে। যেতে পারেনি এরকম ৩০ হাজারের বেশী হতে পারে। তবে এই সংখ্যক পর্যটক সবসময় কুয়াকাটায় অবস্থান করে থাকে। সুতরাং পর্যটক আটকা পড়ার খবরটি সঠিক নয়।’
হোটেল মালিক হাবিব রহমান পর্যটন শিল্পের ক্ষতি কথা উল্লেখ করে জানান, ‘পূর্ব থেকে হোটেল রুম বুকিং দিয়ে যাদের শুক্রবার বিকালে পৌঁছার কথা ছিল, কিন্তু যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসতে পারেননি। হঠাৎ দূরপাল্লার বাস বন্ধ হওয়াতে পর্যটকরা চরম বেকাদায় পড়েছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।