কঠোর বিধিনিষেধ 'লকডাউন'ভেতর বন্ধ হওয়া শিল্প-কারখানার মালিকদের সুপারিশে হটাৎ (১ আগষ্ট) রোববার থেকে শিল্প কারখানা খোলার ঘোষণা। তাই আর কি ? ফিরতে হবে ঢাকা নির্ঘুম রাত আর শত কষ্টের মাঝেও শ্রমিকরা আসছে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল এলাকায়।
কর্মস্থানে ফেরা মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকালে প্রজ্ঞাপন দেওয়ার পরপরই ট্রাক ও মাইক্রোবাস সিএনজিতে রাতেই রাজাধানীর উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে মানুষ।
শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল ও নবীনগরে আসতে দেখা গেছে হাজারও মানুষ। কেউ মাইক্রোবাসে কেউবা ট্রাকে আবার কেউ মোটরসাইকেল ও সিএনজি যোগে আসছেন। সারারাত জেগে আশুলিয়ায় আসতে আসতে ক্লান্ত হয়ে পরেছেন তারা৷
রংপুর থেকে স্ত্রী নিয়ে বাইপাইল সিএনজি যোগে এসেছেন আনোয়ার নামের এক পোশাক শ্রমিক৷ তিনি বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী একই কারখানায় কাজ করি। ভেবেছিলাম ৫ তারিখ কারখানা খুলবে৷ আমাদের কারখানা ছুটিও দিয়েছিলো ৫ তারিখ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, কিন্তু হঠাৎ করে কাল সিদ্ধান্ত হলো কারখানা খোলা৷ এরপর আমার লাইনের ইনচার্জ আমাকে ফোন দিয়ে বলে কারখানা ১ তারিখ থেকে খোলা যেভাবে পারো ঢাকায় চলে এসো।
পরে আর কি করার রংপুর থেকে গতকাল রাত ৮টার দিকে সিএনজিতে উঠেছি আসতেই তিন বার সিএনজি পাল্টিয়েছি৷ এখন চন্দ্রা থেকে ভ্যানে করে আসলাম৷ আসতে প্রায় দুইজনে মিলে ২০০০ টাকা গাড়ি ভাড়ায় পরেছে৷
ট্রাকে করে দিনাজপুর থেকে এসেছেন মিতালি, হাফেজা, সুমন, মানিক, মিজানের মত আরও অনেকেই। তারা বলেন, কারখানা খুলে দিয়েছে। কাল থেকেই নাকি কারখানা চলবে।
এখন কারখানায় গিয়ে ডিউটি করতে না পারলে চাকরি থাকবে না৷ তাই সবাই মিলে যে ট্রাকে বাড়িতে গিয়েছিলাম সে ট্রাকেই আবার ঢাকায় আসলাম।
এদিকে শিল্পাঞ্চল সাভারে প্রবেশ পথে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাড়ইপাড়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট দেখা গেছে। সেখানে প্রত্যাক গাড়িকে থামিয়ে থামিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে মানুষ পায়ে হেঁটে ঢাকার দিকে আসচ্ছে।
এ বিষয়ে সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টি আই এডমিন) আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট রয়েছে। কোনো গণপরিবহন সড়কে চলাচল করছে না। সকাল থেকেই নজরদারিতে রয়েছে প্রত্যাকটি সড়ক।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।