রাভি হুদা একজন ভারতীয় কানাডিয়ান। তিনি ইসলামোফোবের জন্যে পেয়েছেন কঠিন শাস্তি ।
ইসলামোফোবিয়া একটি নতুন ইংরেজি শব্দ। কিছু বিভ্রান্ত মুসলমানের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যার মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে একটি সহিংস ধর্ম হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে; সেটি যে আসলে কিছু মানুষের ষড়যন্ত্র; সেটিকে পাশ কাটিয়ে ইসলাম ধর্ম নিয়ে ঘৃণামূলক, বিদ্বেষমূলক ও ভীতিমূলক কথা ছড়ানোর নাম ইসলামোফোবিয়া।
আমেরিকার কিছু রক্ষণশীল ব্যক্তি এবং ভারতের একদল রাজনৈতিক মানুষ ইসলামোফোবিয়ার প্রবল অনুসারী। আবার দুই দেশের অনেক সুশীল মানুষ এর প্রচন্ড বিরোধী।
এবার মাহে রমজানে কানাডার টরন্টোর বেশ কিছু মিউনিসিপালিটির মসজিদে যেহেতু জামাত বন্ধ; তাদেরকে মেয়র অফিস মাইকে শুধু মাগরিবের আজান দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ইফতারির সময় বোঝাতে। সেটিও সহ্য হয়নি টরন্টোর রাভি হুদার।
রাভি হুদা টুইটারে লিখলেন, (মাইকের আজান) "এর পরে কী? উট ও ছাগল চালকদের জন্য আলাদা লেন, কোরবানির নামে বাড়িতে পশু জবাই করার অনুমতি, সমস্ত মহিলাদের খুশি করার জন্যে ভোটের ব্যবস্থা তাঁবুতে, সেখানে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রেখে তারা আসবে, এইসব গুলিরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।" তার এই কথায় সবাই আহত হয়েছে। তিনি একটি স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন, সেখান থেকে তাকে শুধু নামিয়ে দেয়া হয়েছে তা নয় তিনি কোনদিন কোন মিটিংয়ে থাকতে পারবেন না। রিমিক্স নামে নামকরা রিয়াল স্টেটের চাকুরী হারিয়েছেন।
তিনি ছিলেন আবার ইমিগ্রেশন আইনজীবী, সেটির লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। এখন যদি তার গাড়ি বাড়ির মর্টগেজ না দিতে পারেন তাহলে তিনি শিগ্রই হবেন হোমলেস। এবং ভবিষ্যতে তার চাকুরী পাওয়া হবে দুষ্কর। সবাই বলবে, ও তুমি সেই রাভি!
শিখ অধ্যুষিত ব্রামপটন মিউনিসিপালিটি এই ঘটনার পরে তাদের শহরে মাগরিবের আজান লাউড স্পিকারে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মুসলমানদের।
ইসলামোফোবদের বিরুদ্ধে কানাডার এই প্রথম ঘটনার আগে গত সপ্তাহে দুবাইতে সাতজন ভারতীয়কে আবুধাবী থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। ছবিতে রাভি হুদা, হুদা হুদী ধরা খাইছে আল্লাহর মনোনীত পৃথিবীর সব মানুষের ধর্ম ইসলামের পিছনে লাগতে গিয়া। আল্লাহই হেদায়াতের মালিক।
সংবাদটি ভারতীয় পত্রিকায় ছাপা হওয়ার অর্থ হলো প্রবাসী ভারতীয়দের মেসেজ দেয়া, -- মুসলমানদের নিয়ে পাঙ্গা নেহি লেনা।