প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৯
ইয়েমেন থেকে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে নিক্ষেপিত একটি ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে তেলআবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। আরব ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা মেহের রোববার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বাজে ওঠে। ইসরায়েলি চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে এবং বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের আকাশসীমা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এ সময় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সফলভাবে হুথি বিদ্রোহীদের নিক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। এর ফলে সাময়িক সতর্কতা সাইরেন বাজলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে বড় ধরনের আতঙ্ক ছড়ায়নি।
আইডিএফ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় হামাসবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি বাহিনী ইসরায়েলের দিকে মোট ৯১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্তত ৪১টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আগে ইয়েমেনিরা ইসরায়েলের দিকে ৪০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রেরণ করেছিল।
ইয়েমেন বারবার ইসরায়েলবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করছে। বিশেষত গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের পর থেকে ইয়েমেনীয় বাহিনীর এই কর্মকাণ্ড আরও সক্রিয় হয়েছে।
ইয়েমেনের এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ইসরায়েলীয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর রয়েছে এবং জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের সাময়িক বন্ধ থাকা বিমান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে, তবে বিমানবন্দর পুনরায় চালু হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এ ঘটনার মাধ্যমে ইয়েমেন এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থনের ছবি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
এ সময় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের ঘটনা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও প্রতিক্রিয়ার জটিলতা এ অঞ্চলে শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।