মহামারি করোনাভাইরাসে ইতালিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করলেও থামছে না মৃত্যুর মিছিল। জনগণকে সুরক্ষা দিতে ইতালি সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে।গত কয়েকদিনে রেকর্ডসংখ্যক লোক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। আজও এ সংখ্যা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ হাজার ৮২২ জন। এদিন সোমবার (২০ এপ্রিল) প্রাণ হারিয়েছে ৪৫৪ জন। এ নিয়ে মোট প্রাণ হারিয়েছে ২৪ হাজার ১১৪ জন।
এদিন নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ২৫৬ জন। দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৩ জন, যা গতকালের চেয়ে ৬২ জন কম। মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ ৮ হাজার ২৩৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৮১ হাজার ২২৮ জন বলে জানিয়েছেন নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেল্লি।তিনি বলেন, জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪৮ হাজার ৮৭৭ জন।
ইতালির ২১ অঞ্চলের মধ্যে লোম্বারদিয়ায় করোনার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত (মিলান, বেরগামো, ব্রেসিয়া, ক্রেমনাসহ) ১১টি প্রদেশ। আজ এ অঞ্চলে মারা গেছে ১৬৩ জন। শুধু এ অঞ্চলেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১২ হাজার ৩৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৯৭১ জন। আজ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫৫ জন। এ অঞ্চলে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৯ হাজার ৪৬৩ জন।
করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বিপর্যস্ত ইতালির অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এদিকে আগামী ৩ মে লকডাউন শেষ হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হতে পারে বলে সরকার থেকে ঈঙ্গিত দেয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে আগামী দিনগুলোতে করোনাভাইরাসে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উপর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের এই দুর্দিনে প্রায় আট হাজার অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও অ্যাম্বুলেন্স কর্মী স্বাস্থ্যসেবা দিতে করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও তিউনিশিয়া, কাতার, আলবেনিয়া, চীন, কিউবা এবং রাশিয়া থেকে আগত মেডিকেল টিম ইতালির বিভিন্ন অঞ্চলে আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।