প্রকাশ: ৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪
মোবাইল ফোনভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘সহজক্যাশ লিমিটেড’-এর নামে সম্প্রতি একটি চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ায় সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ‘সহজক্যাশ’ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক লেনদেন বা মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) চালুর অনুমতি দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স (ডিসিপি) থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সহজক্যাশ’ নামের কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পায়নি। তাই এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন বা প্রতিশ্রুতি না দিতে জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সম্প্রতি একাধিক জাতীয় দৈনিকে ‘সহজক্যাশ লিমিটেড’-এর নামে একটি চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। সেখানে দাবি করা হয়, প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে প্রাক-পরিচালন পর্যায়ে রয়েছে এবং মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস চালুর অনুমোদন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট জানিয়েছে, ‘সহজক্যাশ লিমিটেড’ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এমএফএস চালুর জন্য কোনো আবেদন জমা পড়েনি এবং এ সংক্রান্ত কোনো প্রক্রিয়াও চলমান নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জনগণের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। অনুমোদনহীন কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ব্যাংকিং বা এমএফএস কার্যক্রম পরিচালনা করে, তবে তা প্রতারণামূলক বলে গণ্য হবে এবং আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, যে কোনো আর্থিক সেবা ব্যবহারের আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বৈধতা যাচাই করতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে অনুমোদিত সকল ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিস প্রদানকারীদের তালিকা প্রকাশিত রয়েছে।
এছাড়া সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, মিথ্যা চাকরির বিজ্ঞাপন বা বিনিয়োগের প্রলোভনে বিভ্রান্ত না হতে। প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় বা বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ কেন্দ্রে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল প্রতারণা ও ভুয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। তাই জনগণের সচেতনতা ও সতর্কতা এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, যেন কেউ প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে।