মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঐক্যের বার্তা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেসে এলেও গত দুই বছর ধরে গভীর বিভাজন শহরটিকে আলাদা করে দিয়েছে। গত রাতজুড়ে সেটিই দৃশ্যমান হয়েছে। নিজের মেয়াদে ট্রাম্প দ্বিদলীয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। বক্তৃতায় তিনি নিজের মূল বিশ্বাসের জায়গায় আপস করার আভাস দিয়েছেন। নিজের বক্তৃতায় মেক্সিকো সীমান্তে একটি দেয়াল নির্মাণের দাবির প্রতি জোর দিয়েছেন। শেষ সময়ে এসে গর্ভপাত করার প্রবণতা বন্ধে একটি আইন করার কথাও জোর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার ভাষণে ডেমোক্রেট সদস্যরা ছিলেন শ্রোতা। তাদের পরনে ছিল বিশ শতকের গোড়ার দিকে ব্রিটেনে নারী ভোটাধিকার দাবিতে আন্দোলনকারীদের পোশাকের মতো সাদা রঙের পোশাক। প্রেসিডেন্টের দাবি মানার কোনো আগ্রহ তাদের নেই- এমন বোঝাতেই এ পোশাক পরে এসেছেন তারা। ভাষণের অধিকাংশ সময় তারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাটিয়েছেন। কখনও মাথা নেড়ে বা কখনও তাদের মুখ থেকে অস্পষ্ট শব্দ বের হয়েছিল। কিন্তু ভাষণের শেষে কারও ভেতরে কোনো পরিবর্তনের মনোভাব দেখা যায়নি।
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক কোটি নাগরিক আজ আমাদের দেখছেন। আপনারা এই কক্ষে এসে জড়ো হয়েছেন। সবার প্রত্যাশা- আমরা দুটি দল হিসেবে নয়, একটি জাতি হিসেবে দেশ পরিচালনা করব। কিন্তু একজন যুদ্ধংদেহী প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে এমন কথা শুনে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর গত দুই বছর যিনি কেবল বিরোধী কংগ্রেসদের আঘাত করে গেছেন। এমনকি তার নিজের দলের কেউ কেউ রেহাই পায়নি। তার মুখ থেকে এমন কথা শুনে তাদের আকাশ থেকে না পড়ে উপায় ছিল না।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।