যুক্তরাষ্ট্র জার্মানি, ইতালি এবং গ্রিসের চারটি সংগঠনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব সংগঠনকে ‘হিংসাত্মক অ্যান্টিফা গোষ্ঠী’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানান, জার্মান-ভিত্তিক অ্যান্টিফা অস্টকে ‘বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া গ্রীস ও ইতালির আরও তিনটি সংগঠনকে একই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রুবিও বলেন, “এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলো বিপ্লবী নৈরাজ্যবাদী বা মার্কসবাদী মতাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এদের মধ্যে আমেরিকা-বিরোধীতা, পুঁজিবাদ-বিরোধীতা এবং খ্রিস্টধর্ম-বিরোধীতা অন্তর্ভুক্ত। তারা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশে সহিংস আক্রমণ উস্কে দেয় এবং ন্যায্যতা দেয়।” তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননিরাপত্তা রক্ষার জন্য সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে।
রয়টার্স জানায়, গত সেপ্টেম্বরে ডানপন্থী কর্মী চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড এবং অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর ট্রাম্প ও তার রিপাবলিকান মিত্ররা অ্যান্টিফা অস্টের অনুসারীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ করেন।
জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ২০২৪ সালে অ্যান্টিফা অস্টকে ‘সহিংস নেটওয়ার্ক’ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বরের মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
অ্যান্টিফা অস্ট ছাড়াও ইতালির ‘ইনফরমাল অ্যানার্কিস্ট ফেডারেশন/আন্তর্জাতিক বিপ্লবী ফ্রন্ট’, এবং গ্রিসের ‘সশস্ত্র সর্বহারা ন্যায়বিচার’ ও ‘রেভোলিউশনারি ক্লাস সেলফ-ডিফেন্স’কে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।