প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৩১
রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসার জন্য চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম ঢাকায় আসছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে পাঁচজন চিকিৎসক এবং নার্সের দল রাজধানীতে পৌঁছাবে। ঢাকায় এসে তারা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা কার্যক্রমে সহযোগিতা এবং রোগীদের মূল্যায়ন করবেন।
চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় অনুমোদিত হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগীদের অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন। বার্ন চিকিৎসা, প্লাস্টিক সার্জারি, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি ও পেডিয়াট্রিক রেসপিরেটরি মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের এই দল চিকিৎসা পরিকল্পনা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছে।
দুর্ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে। এর আগে বুধবার (২৩ জুলাই) ভারতের তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ঢাকায় পৌঁছায়। সিঙ্গাপুর থেকেও তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দলের আগমন ঘটে, যার মধ্যে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. চোং সি জ্যাক রয়েছেন। তারা ইতোমধ্যে আহতদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন।
দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের এই সমন্বয় দগ্ধ ও আহতদের জন্য বিশেষ সেবার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। একাধিক দেশের এই চিকিৎসক দলের সমর্থনে গুণগতমানের উন্নতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অগ্নিদগ্ধদের দ্রুত আরোগ্য এবং তাদের মানসিক ও শারীরিক পুনর্বাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব আরও বেড়ে এসেছে। এর ফলে আহতরা উন্নত চিকিৎসা পেতে সক্ষম হচ্ছেন এবং দেশের চিকিৎসা পরিকাঠামোর শক্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার ক্ষতিগ্রস্তদের যত্ন নেওয়া এবং চিকিৎসার মান উন্নত করার জন্য সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এই দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশি চিকিৎসক ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে কাজ করে একটি শক্তিশালী চিকিৎসা ব্যবস্থার মডেল তৈরি করছেন, যা ভবিষ্যতে সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।