প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১১:২৪
১২ দিনের তীব্র সংঘাতের পর আপাতত কিছুটা শান্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করায় ইসরায়েল প্রথমে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় এবং এরই জেরে যুদ্ধের শুরু হয়। ইরান জবাব দিলে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ হামলায় অংশগ্রহণ করে, ফলে সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চলছে এবং নতুন করে আলোচনার টেবিল বসার প্রস্তাব এসেছে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে।
ট্রাম্প বলেছেন, ইরান যদি শান্তিপূর্ণ আচরণ করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতায় আগ্রহ দেখায়, তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া যেতে পারে। তার মতে, চাপ ও শক্তির বদলে নমনীয়তা ও কৌশলী কূটনীতি অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে। এদিকে ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরান এখন ক্লান্ত ও বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এবং পরমাণু কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা হারিয়েছে।
ট্রাম্পের ভাষায়, ইরান চাইলেও এখন তাদের ইউরেনিয়াম কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে পারবে না। তিনি দাবি করেন, ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে ফেলতে পারেনি, কারণ এটি একটি ভারী ও ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ যা হুট করে সরানো সম্ভব নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগাম সতর্কবার্তা দেয়নি বলেই ইরান প্রস্তুত হতে পারেনি এবং হামলার মুখে অপ্রস্তুত অবস্থাতেই ধরা পড়েছে।
এই অবস্থায় ট্রাম্প নতুন করে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও এতে কতটা অগ্রগতি হবে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা আলোচনা চলছে। কারণ ইরানের পারমাণবিক অবস্থান বহুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে আছে।
এদিকে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে করা ‘আব্রাহাম চুক্তি’ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এই চুক্তিতে আরও কিছু দেশ শিগগিরই যোগ দিতে পারে, যদিও তিনি নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
ট্রাম্পের মতে, ইরান এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের মূল সমস্যা ছিল এবং বর্তমানে দেশটি ব্যর্থতার মুখে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন ধরনের রাজনৈতিক ভারসাম্য গড়ে উঠতে পারে। তবে ইরান এই বার্তাকে কীভাবে গ্রহণ করে, সেটাই এখন পর্যবেক্ষণের বিষয়।