প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১৫:৩৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মোড় নিচ্ছে। ইরানের রাজধানী তেহরান ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতভর চলা এই আক্রমণে ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে।
এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি ও রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী, যারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, এই হামলা ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত এবং ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে। তিনি বলেন, “এই আক্রমণ ইরানের বোমা তৈরির সক্ষমতা নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে চালানো হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আরও জানান, রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত নাতাঞ্জ শহরের পরমাণু স্থাপনাতেও আঘাত হানা হয়েছে। এটি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
ইসরায়েলি পক্ষ বলছে, হামলা এখানেই থেমে থাকবে না। নেতানিয়াহুর ভাষায়, “যতদিন প্রয়োজন, ততদিন ইরানের পরমাণু সক্ষমতার বিরুদ্ধে আমাদের আক্রমণ অব্যাহত থাকবে।” তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারা পরমাণু বোমা তৈরির সঙ্গে জড়িত, তারা কেউই নিরাপদ নয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ইরান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলার প্রতিশোধে তেহরানও জবাবি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলবে।